শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল//
বিশ্ব মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন বরিশার শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মহামিলন মেলা গোল্ডেন জুবলী অনুষ্ঠান।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষ্যে শেবাচিম হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি শনিবার রাতে কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডেন জুবিলী অনুষ্ঠানের আগাম সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, ১৯৬৮ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর আব্দুল মোনেম খান বর্তমান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধণ করেন। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ নভেম্বর এ কলেজের গোল্ডেন জুবিলী (প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি) উৎসব হওয়ার কথা থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর ব্যাপক আয়োজনে দিবসটি পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ওই তিনদিনব্যাপী কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়াও বরিশাল জুড়ে ব্যাপক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে শেবাচিমের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোল্ডেন জুবিলী অনুষ্ঠান উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বরিশালের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সহ দেশবরেণ্য বিশেষজ্ঞ খ্যাতনামা চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ ভাস্কর সাহা জানান, ১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর আব্দুল মোনেম খান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তি প্রস্তুর উদ্বোধণ করেন। ১৯৬৮ সালের ২০ নভেম্বর তিনিই এ কলেজের উদ্বোধণ করেছেন। বরিশাল নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত কলেজে রংপুরের লুৎফর রহমানকে ভর্তির মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়।
তখন মাত্র ৫৬টি আসনের বিপরীতে প্রতিবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেতো শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ১৯৭ আসন সংখ্যার এ কলেজে একটি একাডেমিক ভবন, বৃহত্তর অডিটোরিয়াম, আধুনিক মরচুয়ারি ভবন, তিনটি ছাত্রাবাস, দুইটি ছাত্রী নিবাস, দুইটি ইন্টার্নী ডক্টরস হোস্টেল রয়েছে। এছাড়া পুরো কম্পাউন্ডে একটি হাসপাতাল (১০০০ শয্যা বিশিষ্ট), দুইটি ইন্টার্নী ডক্টরস হোস্টেল, আবাসন ব্যবস্থাসহ একটি নার্সিং কলেজ, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেনীসহ নার্সিং ও ডক্টরস কোয়ার্টার, একটি সেন্ট্রাল মসজিদ, খেলার মাঠ, বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এখানে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন (এমডি, এমফিল, এমএস, ডিপ্লোমা) কোর্সও রয়েছে।
Leave a Reply